ওজন কমাতে চাইলে আর কোনদিন ব্রেকফাস্ট ছাড়বেন না!!
September 17, 2024অফিসে এই তিনটি সহজ এক্সারসাইজ দূর করবে হৃদরোগের আশঙ্কা।
October 8, 2024বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৩৫% শিক্ষার্থী ব্রেকফাস্ট করে না: ব্রেকফাস্ট না করার ক্ষতিকর দিক
ব্রেকফাস্ট না করার কারণ
বাংলাদেশের বারডেমের (BIRDEM) একটি গবেষণা অনুসারে, আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ (প্রায় ৩৫%) নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করে না। এই ব্রেকফাস্ট না করার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যেমন ব্যস্ততা বা সময় স্বল্পতা, সকালে দেরি করে উঠা, স্কুল-কলেজের সময়সূচি কিংবা ব্রেকফাস্টের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ইত্যাদি। এছাড়া সকালে মনের মতো খাবার না থাকার ফলেও কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী ব্রেকফাস্ট না করেই স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষাগত জীবনে ব্রেকফাস্ট না করার প্রভাব
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে চলার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, যেমন স্থুলতা, অপুষ্টি এবং মনোযোগের অভাব। ব্রেকফাস্টের সাথে স্থুলতার কি সম্পর্ক এ নিয়ে আমাদের আলাদা একটি আর্টিকেল রয়েছে। না পড়ে থাকলে এখনি পড়ুন। কিন্তু ব্রেকফাস্ট না করার ফলে যে অমনোযোগিতা দেখা যাচ্ছে তা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ভাবার বিষয় কারন এতে তাদের পড়াশোনায় একটি খারাপ প্রভাব পরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় যারা নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করে, তারা মেধাশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তায় অন্যদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করে, এছাড়া তাদের পুরোদিনের এনার্জি লেভেলও বেশ ভালো থাকে। এই প্রতিবেদনে আরো দেখা যায় যারা প্রতিদিন সকালে একটি পরিপুষ্ট ব্রেকফাস্ট করে তাদের মধ্যে পুষ্টিহীনতার আশঙ্কা অনেক কম থাকে।
শিশু এবং কিশোরদের মস্তিষ্ক সর্বোত্তমভাবে কাজ করার জন্য গ্লুকোজ এর একটি ধারাবাহিক সরবরাহ প্রয়োজন। আর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো সকালে ব্রেকফাস্ট না করা কারণ রাতে ডিনারের পর আপনার শরীরে কিন্তু আর কোনো খাবার যাচ্ছে না অর্থাৎ পুরো রাতে প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা উপোষ থাকার পর যখন আপনি সকালে উঠে একটি পরিপুষ্ট ব্রেকফাস্ট করেন তখন আপনার শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা আবার স্বাভাবিক হয়। কিন্তু যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী সকালে ঠিকমতো ব্রেকফাস্ট করে না তাই তাদের এই গ্লুকোজের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয় যা তাদের মস্তিস্ক ঠিকভাবে কাজ করতে বাঁধাগ্রস্ত করে এবং তাদের মধ্যে অমনোযোগিতা দেখা দেয়।
একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পুষ্টিবিদ ডা. মো. আবদুর রাজ্জাক অভিভাবকদের পরামর্শ দেন, প্রতিদিন সকালে শিশু কিশোরদের একটি সুষম ব্রেকফাস্ট দেয়া উচিৎ যেখানে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ভিটামিন ও মিনারেলের একটি সংমিশ্রণ থাকবে। তিনি আরো বলেছেন শিশুদের ছোটবেলা থেকেই ব্রেকফাস্ট করার অভ্যাস না গড়লে তাদের মধ্যে ব্রেকফাস্ট এড়ানোর একটি বদভ্যাস চলে আসবে যা ভবিষ্যতেও থেকে যেতে পারে এবং এই বদভ্যাসের কারনে ভবিষ্যতে তাদের শরীরে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী ব্যাধি দানা বাধতে পারে।
সমাধানের পথ কী?
শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের নানান দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্রেকফাস্ট এড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে আর এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য অভিভাবক থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজেও ব্রেকফাস্টের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অভিভাবকরা চাইলে আগেরদিন রাতে তাদের সন্তানদের জন্য একটি পরিপুষ্ট ব্রেকফাস্টের সকল উপকরণ রেডি করে রাখতে পারেন যাতে সকালে তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট প্রস্তুত করা যায়। এছাড়া স্কুল বা কলেজগুলো একটি ব্রেকফাস্ট প্রোগ্রাম চালু করতে পারে যেখানে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ব্রেকফাস্টের সুবিধা থাকবে এখানে শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক দিকটাও মাথায় রাখা জরুরি।
Skipping Breakfast: A Silent Crisis- More than 35% of Bangladeshi Students skip their breakfast daily.
Breakfast is often called the most important meal of the day because it boosts your metabolism and gives you the energy needed for daily activities. However, recent data shows that 35% of students in Bangladesh are skipping this crucial meal. This trend has serious consequences, affecting their physical health, mental focus, and academic performance.
The Alarming Reality: Why Are Students Skipping Breakfast?
According to a study conducted by the Bangladesh Institute of Research and Rehabilitation in Diabetes, Endocrine, and Metabolic Disorders (BIRDEM), a significant percentage of students in Bangladesh do not consume breakfast regularly. Various factors contribute to this concerning trend, including busy school schedules, lack of awareness about the importance of breakfast, and socioeconomic challenges that limit access to nutritious food in the morning.
Impact on Health and Academic Performance
A report published by the World Health Organization (WHO) emphasizes that children who regularly eat breakfast perform better academically and have higher energy levels throughout the day. They are also less likely to suffer from nutritional deficiencies, which are common among those who skip breakfast.
Skipping breakfast has been linked to various health issues, including obesity, malnutrition, and poor concentration. The human brain, especially in growing children and adolescents, requires a steady supply of glucose to function optimally. When students skip breakfast, their blood sugar levels drop, leading to decreased cognitive performance, memory issues, and difficulties in concentration. This can result in lower academic performance, making it harder for students to keep up with their studies.
Expert opinion
Dr. Md. Abdur Razzaque, a leading nutritionist in Bangladesh, highlights that a balanced breakfast should include complex carbohydrates, protein, and healthy fats. Foods like whole grains, eggs, fruits, and dairy products provide the necessary nutrients to fuel the brain and body for the day ahead. He warns that consistently skipping breakfast can lead to long-term health problems, including chronic diseases such as diabetes and heart disease.
What is the solution?
To combat this growing issue, schools and parents need to prioritize breakfast. Schools can implement breakfast programs that ensure all students have access to a nutritious morning meal. Parents should educate their children about the importance of breakfast and encourage them to make time for it every day.
The government and non-governmental organizations (NGOs) can also play a role by launching awareness campaigns and providing support to low-income families to ensure that all children can start their day with a healthy meal.
The fact that 35% of students in Bangladesh skip breakfast is a silent crisis that demands immediate attention. The importance of breakfast cannot be overstated—it is essential for physical health, cognitive function, and academic success. By addressing the root causes and promoting the value of a nutritious breakfast, we can help improve the health and future prospects of Bangladesh's young population.