প্রতিদিন শিশুদের কী ধরনের ব্যায়াম করা উচিত?
October 9, 2024Nasta First Class: Quick, Nutritious & Delicious Breakfast Ideas
October 20, 2024আপনার সন্তানের মোবাইল বা টিভিতে কী দেখছে, তা কি আপনি লক্ষ্য রাখছেন?
আজকের ডিজিটাল যুগে, শিশুরা মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে যে কোনো কনটেন্ট দেখতে পারছে, যা আগে কখনও সম্ভব ছিল না। যদিও এখানে শিক্ষামূলক এবং বিনোদনমূলক অনেককিছুই রয়েছে, তবে যদি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ না করা হয়, তাহলে এই প্রযুক্তি কিন্তু বড় ধরণের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ডিজিটাল কনটেন্টের প্রভাব বাড়ছে
Common Sense Media-এর একটি গবেষণা অনুযায়ী, একটি শিশুর প্রতিদিন প্রায় ছয় ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে কাটানোর প্রবণতা রয়েছে। এর ফলে, কনটেন্টের প্রভাব তাদের মন ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। শিশুরা যে কনটেন্টগুলো এখন দেখছে, তা তাদের আচরণ, মূল্যবোধ এবং ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা এবং মানসিকতা গঠনে বড় ভূমিকা রাখে।
কেন পর্যবেক্ষণ জরুরি?
অনেক সময় আমাদের সন্তানেরা এমন কনটেন্টের সম্মুখীন হতে পারে, যা তাদের জন্য একদমই উপযুক্ত নয়, যেমন হিংসাত্মক বা অশ্লীল কনটেন্ট, কিংবা এমন কনটেন্ট যা একদমই অসামাজিক। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্সের (AAP) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিংসাত্মক মিডিয়ার সংস্পর্শে আসা শিশুদের মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণের প্রবণতা বেড়ে যায়। এজন্য, আপনি তাদেরকে যতটা সম্ভব শিক্ষামূলক কনটেন্ট দেখাতে পারেন যা তাদের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ এবং সম্প্রীতি গড়ে তুলবে।
বিভিন্ন প্লাটফর্মের অ্যালগরিদম
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যেমন ইউটিউবের মতো ভিডিও শেয়ারিং সাইট কিংবা নেটফ্লিক্সের মতো স্ট্রিমিং সার্ভিসগুলোর যে অ্যালগরিদম রয়েছে তা আপনার দেখার অভ্যাসের উপর ভিত্তি করে কনটেন্ট সাজেস্ট করে। অর্থাৎ আপনি যখন ইউটিউব বা নেটফ্লিক্সে কিছু দেখছেন তার সাথে সম্পৃক্ত কনটেন্ট আপনার বাচ্চার সামনেও আসতে পারে। সঠিকভাবে নজরদারি না দিলে, এই অ্যালগরিদমগুলো শিশুদের জন্য এমন কিছু কন্টেন্ট দেখাতে পারে যা তাদের জন্য অনুপযুক্ত।
Internet Watch Foundation-এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ৫০%-এরও বেশি শিশু অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের মুখোমুখি হচ্ছে। তাই নজরদারি এখন কেবল গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং অত্যাবশ্যক বলা যায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
আপনার সন্তানের সামনে যেন অসামাজিক বা অশ্লীল কনটেন্ট না আসে, তার জন্য নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলুন:
- প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করুন: বেশিরভাগ ডিভাইস এবং স্ট্রিমিং সার্ভিসে প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের একটি অপশন থাকে, যা অন করলে আপনি আপনার ডিভাইসগুলোতে কিংবা বিভিন্ন প্লাটফর্ম যেমন ইউটিউব বা নেটফ্লিক্সে সকল ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ১৮+ কনটেন্ট আসা বন্ধ করতে পারেন।
- একসাথে কনটেন্ট দেখুন: যতটা সম্ভব, আপনার সন্তানের সাথে বসে কনটেন্ট দেখুন। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার সন্তান কি ধরণের কনটেন্ট দেখছে এবং তার পাশাপাশি তাদের মধ্যে শিক্ষামূলক কনটেন্ট দেখার অভ্যাসও গড়ে তুলতে পারবেন।
- নির্দিষ্ট সময় মোবাইল বা টিভি : টিভি দেখার বা মোবাইল ব্যবহার করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেধে দিন। এর ফলে আপনার সন্তান খুব বেশি সময় স্ক্রিনের সামনে কাটানোর সুযোগ পাবে না। আর আপনার বাচ্চা যাতে মোবাইলে সারাক্ষণ না থাকে সেজন্য তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন।
- খেলাধুলা, ব্যায়াম, ছবি আঁকা ইত্যাদি করতে উৎসাহিত করুন: স্ক্রিন টাইমের বাইরে আপনার সন্তানকে খেলাধুলা, ব্যায়াম বা ছবি আঁকতে উৎসাহিত করুন। এর ফলে তার মধ্যে মোবাইল ব্যবহার কমে আসবে।
বর্তমান সময়ে মোবাইল এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে আমাদের বাচ্চারা অনাকাঙ্ক্ষিত ও বয়স অনুপযোগী কনটেন্টের সম্মুখীন হচ্ছে। ছোট বেলাতে এসব কনটেন্ট দেখলে তাদের কোমল মনে খুব খারাপ প্রভাব পরে তাই আজ থেকেই তারা কি ধরণের কনটেন্ট দেখছে তার নজরদারি শুরু করুন।
Are You Monitoring What Your Kids Are Watching on Mobile and TV?
In today’s digital world, children have unprecedented access to content through mobile phones, tablets, and televisions. While there are a lot of educational and entertaining contents, they also pose significant risks if not properly monitored. Ensuring that your kids are watching appropriate content is more important than ever.
The Growing Influence of Digital Content
Common Sense Media (CSM) has recently discovered in a study that an average child spends up to six hours a day in front of screens, also the bad impact of digital content on young minds is undeniable. Children are exposed to a vast array of contents, some of which may not be suitable for their age or developmental stage. This exposure can shape their behavior, values, and even mental health.
Why Monitoring Matters?
Monitoring what your children watch is crucial for several reasons. First, it helps protect them from inappropriate content, such as violence, sexual content, or harmful unsocial trends. A report by the American Academy of Pediatrics (AAP) highlights that exposure to violent media can lead to aggressive behavior and lack of self control in children. Additionally, monitoring ensures that the content they consume is educational and also aligns with your family’s values.
Algorithm and the risk
Social media platforms like Facebook, YouTube, and other streaming services like Netflix have similar algorithms that suggest content based on previous viewing habits. Without proper supervision, these algorithms can expose children to content that might not be suitable for them.
According to research by the Internet Watch Foundation, more than 50% of children aged 11 to 16 have accidentally encountered adult content online. These reports show how severe this issue is and why it is your utmost duty to keep an eye on what your children are on mobile or other devices.
Expert Tips for Parents
To effectively monitor your child’s screen time and content, consider the following tips:
- Set Up Parental Controls: Most devices and streaming services offer parental control features that allow you to restrict access to certain types of content. Take advantage of these tools to create a safe viewing environment for your child.
You can see these videos to enable parental control on your phone:
Watch Together: Whenever possible, watch content with your child. This does not allow you to monitor what they’re viewing only, it also gives you the opportunity to discuss the content and teach them different skills or ideas.
Create a Viewing Schedule: Set specific times for watching TV or using mobile devices. This helps limit the screen-time and ensures that your child is not spending too much time in front of a screen.
Encourage Alternative Activities: Encourage your child to engage in activities outside of screen time, such as reading, playing outside, or participating in hobbies (like drawing). This helps reduce the reliance on digital entertainment.
It's high time- Be Proactive!
In an era where digital content is universal, being proactive about monitoring what your children are watching is essential. By setting boundaries, using parental controls, and encouraging open communication, you can help protect your children from the potential risks of digital content while ensuring they have a healthy and balanced attachment with screens. Remember, it’s not just about what they watch, but how they watch it that makes all the difference.